সোমবার, ২৮ Jul ২০২৫, ০৪:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট এক বছরে বিএনপির আয় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা লালমনিরহাটে অপরাধ প্রতিরোধের লক্ষ্যে বিট পুলিশিং সভা ঝিনাইগাতী সদর বাজারে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছের চারা নির্বাচন ভন্ডুলের অপচেষ্টা রুখতে ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টার মেয়েরাই নন, পুরুষরাও করে শুধু আলোচনায় আসে না: কাজল গৌরীপুরে বেস্ট লাইফ ইন্সুইরেন্সের উদ্যোগে পুরষ্কার বিতরণ ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্ব নীরবতায় তীব্র নিন্দা জাতিসংঘ মহাসচিবের নওগাঁয় বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মানতে না পেরে চিরকুট লিখে কিশোরী আত্মহত্যা  স্বদেশ প্রোপার্টিজের অবৈধ বালু ভরাট বন্ধে রাজউকের নির্দেশনা
মুফতি আমির হামজাকে খুঁজছে পুলিশ

মুফতি আমির হামজাকে খুঁজছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ওয়াজের মাধ্যমে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও দেশজুড়ে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজাকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আমির হামজা ওয়াজ-মাহফিলে ইসলামের নামে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন। ইউটিউবে অবমুক্ত তার বেশ কিছু বক্তব্য উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। যা শুনে কোমলমতি কিশোর-তরুণরা জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট হচ্ছে।

সাম্প্রতিক হেফাজতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার অভিযানের কারণে আত্মগোপনে রয়েছেন আমির হামজা। তবে খুব শিগগিরই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র।

আমির হামজা ছাড়াও আরো কয়েকজন ইসলামী বক্তার তালিকা করা হয়েছে। তারা ইউটিউবে ওয়াজের নামে উগ্রবাদ ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতেন। তাদের ভুল ব্যাখ্যায় মোটিভেটেড হয়ে অনেকেই জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে সংসদ ভবন এলাকা থেকে তলোয়ার নিয়ে সংসদভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় সাকিব নামে একজনকে আটক করা হয়। সাকিবকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়।

এছাড়া সাকিবের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তা সংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তা সংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হয়’।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই তালিকায় যেসব বক্তাদের নাম ছিল সাম্প্রতিক সময়ে এদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এখনও বেশ কয়েকজন কথিত ইসলামী বক্তা নিয়মিত ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে জিহাদের ডাক দিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম দুজন মাহমুদুল হাসান গুনবী ও মুফতি আমির হামজা। তাদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক ভাষায় ওয়াজকারী মুফতি আমির হামজা দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া ইসলামী বক্তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলায় তার জন্ম। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া থেকে আল-কোরআনের ওপর অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ওয়াজ-মাহফিল ও ইউটিউবে উগ্রবাদ প্রচার করার অভিযোগে ২০১৯ সালের মার্চে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে ১৫ জন ইসলামী বক্তার একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এসব বক্তাদের অনেকেই এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com